ডেস্ক রিপোর্ট ।। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন বাকি তফশিল ঘোষণাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা। তফশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থাকে নির্বাচন কমিশন। ওই রেওয়াজ অনুযায়ী আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনার।
আগামী সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। জানুয়ারির প্রথম দিকে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গতকাল জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটসংক্রান্ত প্রচার শুরু করেছে কমিশন। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে এখন পর্যন্ত যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তার সারসংক্ষেপ জানাবে কমিশন। ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা দিলে তা শুনবে কমিশন। এরপরই আগামী সপ্তাতে কমিশন সভা করে নির্বাচনের তফশিল চূড়ান্ত করবে ইসি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফশিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ওই ভাষণ সম্প্রচার করবে। ওই ভাষণে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন সিইসি। ওই ভাষণে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন আয়োজন করছেন বলেও উল্লেখ করা হতে পারে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি নিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার মতো পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি। সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী তফশিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।