বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং, দুপুর ১২:৫১
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের লেখনীর কারণেই জবাবদিহিতা সৃষ্টি হয় :বাবুগঞ্জে সদ্য যোগদানকৃত ইউএনও আমাকে একটি সেলে ফাঁসির আসামির সঙ্গে রাখা হয়েছে বরিশালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব ও পুরষ্কার বিতরণ বরিশালে এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর প্রতিষ্ঠা ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত রাজশাহী ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা, ভাংচুর আমরা সাম্যতার সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই : ডা. শফিকুর রহমান আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব আসামি খালাস যুক্তরাজ্যে মিলেছে হাসিনা-ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান বিজিপি নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

এনবিআর সচিবের সম্পত্তি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট ।। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আবু মাহমুদ ফয়সাল ঘুষ লেনদেন করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের জন্য নিজের নামসহ আত্মীয়-স্বজনের নামে ৭০০টির বেশি হিসাব খোলেন। উদ্দেশ্য, অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করা। দুদকের পক্ষ থেকে আবু মাহমুদ ফয়সালের সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট কিনেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালীন জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রি করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।

এতে আরও বলা হয়, অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।