শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, বিকাল ৪:৩১
শিরোনাম :
সপ্তাহে ৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই আরেকবার ভুল করলে ইসরায়েলের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না: ইরান ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ তাপমাত্রা আরও বাড়বে, গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার সারাদেশে ১০ দিনে পাঁচ লাখ গাছ লাগাবে ছাত্রলীগ ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান আর নেই

ডেক্সরিপোর্ট  বরেণ্য সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান মারা গেছেন। আজ শনিবার রাজধানী শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আজাদ রহমান মারা গেছেন।

 

গত ২০ মার্চ অসুস্থ অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি শুধু সংগীত পরিচালকই ছিলেন না, চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’

বরেণ্য এ সংগীত পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খেয়ালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কলকাতার জনপ্রিয় বাংলা ছবি ‘মিস প্রিয়ংবদা’র সংগীত পরিচালনা দিয়ে চলচ্চিত্রের গানে তাঁর পথচলা শুরু।

এই ছবিতে তাঁর পরিচালনায় গান গেয়েছিলেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরতি মুখোপাধ্যায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক আজাদ রহমানের সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র বাবুল চৌধুরীর ‘আগন্তুক’। এছাড়া ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘মনেরও রঙে রাঙাব’, ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’, ‘এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি’সহ বহু গানের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন আজাদ রহমান।

 

কোনোটির সুরকার তিনি, কোনোটির সংগীত পরিচালক। তাকে বাংলা খেয়ালের প্রবর্তক বলা হয়। বাংলা একাডেমি থেকে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা সংগীত বিষয়ক বই ‘বাংলা খেয়াল’।