শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, বিকাল ৩:২০
শিরোনাম :
সপ্তাহে ৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই আরেকবার ভুল করলে ইসরায়েলের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না: ইরান ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ তাপমাত্রা আরও বাড়বে, গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার সারাদেশে ১০ দিনে পাঁচ লাখ গাছ লাগাবে ছাত্রলীগ ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

সামরিক শাসকদের দলের কেউ যেন আওয়ামী লীগে না আসে: প্রধানমন্ত্রী

ডেক্সরিপোর্ট  আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামরিক শাসকদের গড়া রাজনৈতিক দল যারা করেছে, কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যারা ছিল, তারা যেন কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগে যোগ দিতে না পারে।

সেজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে এদিক ওদিক থেকে কিছু লোক জোটে এবং দলের ভেতরে এসে তারা নানা রকম অঘটন ঘটায়, অপকর্ম করে, যার বোঝাটা দলকে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়।

তিনি জানান, যে কারণে আমি বারবার শুরু থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করেছিলাম যে এই ধরনের যারা… বিশেষ করে মিলিটারি ডিক্টেটরদের হাতে তৈরি করা যে সমস্ত রাজনৈতিক দল, সেগুলো যারা করে এসেছে বা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যারা ছিল, আমাদের দলে যেন তারা না আসে। এলে দলেরই ক্ষতি করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের ভালো ভালো নেতাকর্মীদের তারাই হত্যা করে। বাইরে আসে কি… দলের কোন্দল। কিন্তু খুঁজলে দেখা যায় যে এরা হয় এখান থেকে সেখান থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, বা তখন খুব ভালো ব্যবহার করে এমনভাবে চলে এসেছে যে আমাদের কেউ কেউ দল ভারী করার জন্য তাদেরকে কাছে টেনে নিয়েছে। কিন্তু এটা নেয়া আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র আওয়ামী লীগই তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত দল। সেভাবেই আদর্শের ভিত্তিতে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে। শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা আলোচনা সভায় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিলেও কেউ কেউ জাতির জনকের সমালোচনায় মুখর ছিল। এত কিছুর পরও কিছু লোক তো… কোনো কিছুই নাকি হয়নি! কোনো উন্নয়নই নাকি হয়নি! কোনো কিছুই নাকি করেনি! সেই কথা বলা, লেখা এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে। কেন? কোন উদ্দেশ্যে? কি কারণে? তার ফলাফল কী হয়েছিল?

তিনি বলেন, অনেকে গণতন্ত্রের কথা তোলে। মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স দিয়ে যখন সংবিধান স্থগিত করে দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা কেউ দখল করে, তারা গণতন্ত্র দেয় কীভাবে? মার্শাল ল দিয়ে তো কখনো গণতন্ত্র হয় না।

১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সেই সঙ্গে ওই সময় সেনাবাহিনীতে একটার পর একটা ক্যু হয়েছে, সেনাবাহিনীর হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে, জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দিনে ৮টা/১০টা করে ফাঁসি হত যাদের চিৎকারে কারাগারের আকাশ বাতাস ভারী হত।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান সারা দেশে একটা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। পাশাপাশি জাতির পিতার খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। এখানে গণতন্ত্রটা কোথায়? মার্শাল ল দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা গণতন্ত্র দিতে পারে না।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই আলোচনা সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ দলের কেন্দ্রীয়, মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।