ডেস্করিপোর্ট বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) আরটি পিসিআর ল্যাব মেশিন বিকল হয়ে পড়ে আছে ১৩ দিন ধরে। গত ৮ ডিসেম্বর মেশিনটি লো-ভোল্টেজের কারণে অকেজো হয়ে পড়লে ল্যাব সহযোগীরা সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানান। কিন্তু এখনও মেশিনটি সার্ভিসিং করা হয়নি। যার কারণে চালু করা যায়নি মেশনটি।
শেবাচিমের পিসিআর ল্যাবের প্রধান ডা. একেএম আকবর কবির জানান, পিসিআর মেশিনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওভারসিস মার্কেটিং কোম্পানিকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবহিত করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মেশিনটির ওয়ারেন্টির সময় এক বছর অতিবাহিত হওয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মৌখিক নয় লিখিত ভাবে চিঠি পেলেই আসবে। কেননা, ওয়ারেন্টির পরে সার্ভিস দিলে তার টাকা পরিশোধ করতে হবে। সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে। পিসিআর মেশিনটি এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে থাকলে অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা এর আগে শের-ই-বাংলা মেডিকেলের একাধিক মেশিনারিতে সামান্য ত্রুটি দেখা দিলেও তা তাৎক্ষনিক মেরামত না হওয়ায় আর সচল করা যায়নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পিসিআর ল্যাবের যে যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়েছে তা মেরামত করা না হলে অন্যান্য মেশিনের ন্যায় এটির পরিণতিও একই হতে পারে।
গত বছরের ৮ এপ্রিল দক্ষিণাঞ্চলের সর্বপ্রথম আরটি পিসিআর ল্যাব চালু হয় বরিশালের শেবাচিমে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিভাগে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ নুমনা সংগ্রহ হলেও দৈনিক গড়ে ২০০ নমুনা পরীক্ষা করা হতো এই ল্যাবে। তৎকালীন সময়ে বাকি নমুনা ঢাকায় পাঠানোর কারণে রিপোর্ট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। আগস্টে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি পিসিআর মেশিন সরবরাহ করা হয় এ ল্যাবে। ওই মেশিনে দৈনিক গড়ে প্রায় ৭০০ নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হতো। কিন্তু পাওয়ার সাপ্লাইসহ কিছু যন্ত্রপাতির অভাবে তা আর চালু করা হয়নি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, পিসিআর ল্যাবে ত্রুটির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং ফোনেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে প্রাপ্ত করোনার স্যাম্পল ভোলার ল্যাবে প্রেরণ করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনো প্রকার জটিলতা হচ্ছে না। দৈনিক প্রায় ১০০ স্যাম্পল পাঠানো হচ্ছে ভোলার ল্যাবে।
এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বাড়ছে উপসর্গ ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।বর্তমানে করোনা শনাক্ত একজন ও আইসোলশন ওয়ার্ডে ৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।