শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, বিকাল ৩:১২
শিরোনাম :
সপ্তাহে ৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই আরেকবার ভুল করলে ইসরায়েলের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না: ইরান ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ তাপমাত্রা আরও বাড়বে, গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার সারাদেশে ১০ দিনে পাঁচ লাখ গাছ লাগাবে ছাত্রলীগ ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

মধ্যরাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আগুন, রাস্তায় রোগীরা

ডেস্করিপোর্ট  বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মধ্যরাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান হাসপাতালের ভর্তি রোগীরা।

তারা জানান, রাত দেড়টার দিকে সব রোগী তখন ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায় এবং চারপাশে ধোঁয়া দেখতে পান তারা। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও ডাক্তাররা সব রোগীকে দ্রুত নিচে নামতে বলেন।

হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় ভর্তি সব রোগী বেড থেকে বেরিয়ে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় আশ্রয় নেয়। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন।

রোগীর স্বজন মাহতাবউদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের টাইফয়েড, সে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি। আমি আজকে তার সঙ্গে ছিলাম। আমরা ঘুমাচ্ছিলাম, মানুষের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি আশপাশে ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধ। পরে দ্রুত ভাইকে নিয়ে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াই।

রোগী ছবি রানী বলেন, আমার শরীর দুর্বল তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি বিকালে। রাতে ডাক্তার স্যালাইন লাগিয়ে দিলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম ভেঙে দেখি সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে। তখন স্যালাইন খোলার জন্য নার্সদের ডাকতে থাকি। তবে কেউ আসেনি, ফলে স্যালাইন লাগানো অবস্থায়ই সামনের রাস্তায় গিয়ে উঠি। সেখানে আরও অনেক মানুষ ছিল।

বরগুনা সদর থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যাই। তারপর বিদ্যুৎ বিভাগকে ঘটনাটি জানালে তার এই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের মাত্রা অতটা না থাকলেও আতঙ্কে অসুস্থ রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।