শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, সকাল ৬:৩৮
শিরোনাম :
সপ্তাহে ৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই আরেকবার ভুল করলে ইসরায়েলের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না: ইরান ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ তাপমাত্রা আরও বাড়বে, গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার সারাদেশে ১০ দিনে পাঁচ লাখ গাছ লাগাবে ছাত্রলীগ ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

পুজোয় চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি, সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রতিমা শিল্পীরা

উজ্জ্বল রায়,নিজস্ব প্রতিবেদক:আধুনিক অর্থনৈতিক মন্দায় এমনিতেই জর্জরিত শহরের প্রায় সবক’টি পুজো। তার সঙ্গে দোসর হিসেবে যুক্ত হয়েছে লাগাতার বৃষ্টি। যার জেরে শঙ্কার মেঘ দেখছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। হাতে আর দিন দশেকও নেই। ম-পে ম-পে চলছে শেষ মুহূতের প্রস্তুতি। ব্যস্ততা তুঙ্গে। নিঃশ্বাস ফেলারও সময় নেই মৃৎশিল্পীরা।

সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে পুজোর কেনাকাটা। চরম ব্যস্ততার মাঝে বর্ষার চোখরাঙানিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রতিমা শিল্পীরা। লাগাতার বৃষ্টি হলে কীভাবে শেষ হবে কাজ, তা নিয়ে চিন্তায় কারিগররাও।

পুজোর উদ্যোক্তাদের কথায়, প্যান্ডেল তৈরি করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হচ্ছে বৃষ্টি। ম-প সজ্জাও নষ্ট হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টিতে নানা সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, আবহাওয়া দপ্তর থেকে যে সতর্কবাণী দিচ্ছে, তাতে প্যান্ডেল আদৌ দ্বিতীয়া-তৃতীয়াতেও শেষ হবে কি না, সেটাই চিন্তার। আবার যে পুজোগুলির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা সেগুলির কর্তাদের মধ্যে কারও কারও কথায়, করার পরেও কাজ বাকি থাকবে। সেক্ষেত্রে একদিন দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ম-পে প্রবেশ বন্ধ রেখে কাজ চালাতে হবে। কারণ, যা বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে তৈরির সময় আরও বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হবে ধরেই আমরা এগচ্ছি। সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা যদি পরবর্তী দিনগুলিতেও হয়, তাহলে শুধু আমাদের মতো উদ্যোক্তাই নয়, দর্শকরাও চরম সমস্যায় পড়বেন।

ত্রিধারা সম্মিলনী পুজোর কর্তা দেবাশিস কুমারের কথায়, এবার যেভাবে আর্থিক মন্দা চলছে, তাতে পুজো করাটাই বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে বৃষ্টি হলে কীভাবে কাজ এগবে, জানি না। আবার সর্বজনীনের কর্তার কথায়, বৃষ্টি কবে হবে, কখন হবে, তা কারও হাতে থাকে না। প্রাকৃতিক নিয়মেই বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ দুর্গাপুজোর জন্য সারা বছর বসে থাকে। লাগাতার বৃষ্টি হলে সমস্যা হতে বাধ্য। এবার পুজো অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। তাই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিলই। আশা করব, মা আমাদের কথা শুনবেন। অন্তত পুজোর সময় বর্ষার মাত্রা একটু কমাবেন। যেভাবে চোখরাঙানি দিচ্ছে বর্ষা, তাতে তো পুজোর সময়েও শহর ভাসাবে মনে হচ্ছে। শিল্পীরা এক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ থাকলে, প্যান্ডেল তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।

তবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরির হয়েছে অন্য একটি বিষয় নিয়েও। বৃষ্টিতে ভিজে শিল্পীরা কাজ করলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাতে ম-পসজ্জা এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে চরম সমস্যা হতে পারে। শিল্পীদের আমরা বরাবর বলে থাকি, কাজ একটু ধীরগতিতে হোক, অসুবিধা নেই। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে কাজের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে, সেই কাজ একেবারেই থমকে যাবে। আমাদের কাছে ‘ভিলেন’ হচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টির জন্য আমাদের সবরকম চেষ্টা বা প্রয়াসই বাধাপ্রাপ্ত হবে। ৩ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব।

প্রতিমা শিল্পী চিত্ত কুমার পাল জানান, তিনি এ বছর ১০ টি প্রতিমা তৈরি করছেন। বাব-দাদার এ পেশা ধরে রেখেছি, মজুরি তেমন পাওয়া না গেলেও, প্রতিমা তৈরিতে আলাদা আনন্দ পাই, তাই এ পেশা চালিয়ে যাচ্ছি।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুন্ডু জানান,নড়াইল জেলায় এবছর ৫৭২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নড়াইলে প্রতিবছরের মতো এবারও শান্তপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।