ডেস্করিপোর্ট কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় বাগেরহাট থেকে পালিয়ে আসা স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া স্কুল ছাত্রের নাম মোঃ ইকবাল হোসেন ইমন ইশান(১৩),পিতা-ইকবাল হোসেন পিন্টু, ইমন বাগেরহাটের বাঐডাঙ্গা ব্রজলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (২০মে) ভোর ৫ টার দিকে মহিপুর থানাধীন তুলাতলি বাস স্ট্যান্ডে একজন শিশু কান্নাকাটি করছে মর্মে সংবাদ পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের টহল টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ১৩ বছর বয়স একজন শিশুকে উদ্ধার করে। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি জানায় যে,গত শুক্রবার (১৯ মে) রাতের বেলায় বাগেরহাট হইতে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে সেভেন স্টার বাসে উঠে কুয়াকাটায় আসে। কিন্তু ছেলেটিকে তাহার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার নাম ইকবাল হোসেন ইমন এবং পিতার নাম ইকবাল হোসেন পিন্টু ছাড়া আর কিছু বলতে পারে না। শিশুটি বাস স্ট্যান্ডে শুধুই কান্নাকাটি করতে থাকে।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত শিশুটিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসে নিয়ে অত্যন্ত আদর যত্ন করে তার নাম-ঠিকানা উদঘাটনের চেষ্ঠা করা হয়। একপর্যায়ে শিশুটি শুধু নাম,ঠিকানা এবং বাঐডাঙ্গা ব্রজলাল মাধ্যমিক স্কুলে ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ে মর্মে জানায়।
পরে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এর নির্দেশে শিশুটির স্কুলের নাম অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায় যে, বাঐডাঙ্গা ব্রজলাল মাধ্যমিক স্কুল নামে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার লখপুর ইউনিয়নে একটি স্কুল আছে। পরবর্তীতে লখপুর ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ মিজান এর মাধ্যমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান এর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ছেলেটির অভিভাবক এবং গ্রামের ঠিকানার সন্ধান পাওয়া যায়।
পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে শিশুটির পিতা ইকবাল হোসেন পিন্টুর সাথে মোবাইলে কথা বলে শিশুটি বাড়ী হইতে পালিয়ে আসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরবর্তীতে ট্যুরিস্ট পুলিশ এর সংবাদমতে শিশুটির পিতা ইকবাল হোসেন পিন্টু বাড়ী হতে কুয়াকাটা এসে তাহার ছেলেকে শনাক্ত করে এবং তাহাকে নিজ জিম্মায় গ্রহন করে।
শিশুর পিতা ইকবাল হোসেন পিন্টু বলেন যে, তাহার ছেলে গত শুক্রবার (১৯ মে) কাউকে কিছু না বলে বাড়ী হতে চলিয়া আসে। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় হারিয়ে যাওয়া শিশুর সন্ধান পান।
তিনি বলেন,ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সদস্যদের সার্বিক সহায়তায় আমার ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি।আমি বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।