শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং, সন্ধ্যা ৭:১৩
শিরোনাম :
বাংলাদেশের পণ্যবাহী চার জাহাজ আটকে রেখেছে আরাকান আর্মি চট্রগ্রামের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা পরিদর্শন করলেন এডিশনাল ডিআইজি খাইরুল আলম কুমিল্লায় পস মেশিনে ট্রাফিকের জরিমানা পরিশোধে কিউ আর কোড ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও দুর্ঘটনা রোধে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত পারিবারিক জিনগত কারণে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন না মিশেল ওবামা যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও গাজায় ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা, নিহত ৪০ বক আর বুনোহাঁস খাওয়া দুই ভ্লগারকে খুঁজছে বন বিভাগ পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ করছে কমিশন: আইজিপি

ফের মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও

ডেস্ক রিপোর্ট ।। আবারও মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে তা চালু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত থেকে দেশে ইন্টারনেটে গতি স্বাভাবিক হচ্ছিল। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবার ভিপিএনের ব্যবহার বাড়বে এবং তা ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে।

গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে এবং ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

আন্দোলনের মধ্যে সরকার ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কাছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ফেসবুক সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ১৩ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ শতাংশের বেশি আধেয় সরিয়েছে। ইউটিউব ১৭ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সরিয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। টিকটক সরিয়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।

সূত্র: প্রথম আলো।