রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ ইং, দুপুর ২:১৭
শিরোনাম :

ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট, আটক ৩

ডেস্করিপোর্ট  পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলমের নির্দেশনা মোতাবেক ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো ১) কুষ্টিয়ার জুগিয়া শেখপাড়া এলাকার মৃত সৈয়দুল ইসলামের ছেলে মোঃ শাকিল (২৮), ২) কুষ্টিয়ার সবজি ফার্মপাড়া এলাকার সন্টু ইসলামের ছেলে মোঃ শাব্বির আহমেদ শান্ত (১৯), ৩) কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়ীয়া ঈদগাহ পাড়া এলাকার লুৎফর মালিথার ছেলে আনারুল ইসলাম (২৯)।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১ টায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলম।

এসপি খাইরুল আলম জানান, কুষ্টিয়া জেলার সবজি ফার্মপাড়া জুগিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল গনির ছেলে সাগর আহম্মেদ বিধান (১৯) বিগত ৮ জানুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে তার ব্যাবহৃত মোবাইলে একটি কল পেয়ে তার চাচাত ভাই মোঃ রিপনকে জরুরি কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। দুপুরে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মোবাইল ফোনটি কিছুক্ষনের জন্য খোলা পেলে পরিবারের লোকজন যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১০ জানুয়ারি ভিকটিম সাগরের পিতা মোঃ আবদুল গনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করেন। জিডি নং ৫৭৬। এর পরে এসপি খাইরুল আলমের নির্দেশে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট কুষ্টিয়া জিডি অনুসন্ধান অব্যাহত রাখেন এবং একপর্যায়ে ১৭ জানুয়ারি পুলিশ জানতে পারেন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার শামুখিয়া তারবাড়ীয়া পুরাতন বালুরঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীর পানিতে একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসতেছে। এদিকে পাবনা জেলার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী কালে ভিকটিমের পিতা আবদুল গনি খবর পেয়ে এসে লাশটি তার ছেলে সাগরের বলে সনাক্ত করেন।

এসপি খাইরুল আলম আরও জানান, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ নিহত সাগরের মোবাইল নাম্বার সহ যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে সরবরাহ করলে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে আসামী শাকিল, শাব্বির আহমেদ শান্ত ও আনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সাগরকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায় মাদক সংক্রান্ত বিরোধ, প্রেম ও পাওনা টাকার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তারা সাগরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কোমল পানীয়র মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে সাগরকে অচেতন করে রড দিয়ে মাথায় আঘাত ও চাকু দিয়ে আঘাত করে সাগরকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্য বালুর বস্তা বেঁধে লাশ পদ্মানদীতে ডুবিয়ে দেয়।

এসপি খাইরল আলম জানান, এ সংক্রান্তে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৩ এবং আটক আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।