রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ ইং, সকাল ৬:৪৮

ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান জানাল ভারত

অনলাইন ডেস্ক ।। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে নিজেদের অবস্থানে পরিবর্তন এনেছে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটি বলেছে, সার্বভৌম, স্বাধীন এবং টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার জন্য সরাসরি কথাবার্তা শুরু করাকেই ভারত বরাবর উৎসাহ দিয়ে এসেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভারতের অবস্থানকে দীর্ঘদিনের এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন পালনের সর্বজনীন বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে সচেতন। সরকার একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা দেখতে চায় যা নিরাপদ এবং স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে, পাশাপাশি (এবং) ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিতে অবস্থান করবে। আমাদের সেই অবস্থান একই রয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের পক্ষে ভারতের এই অবস্থান বদলকে আরব বিশ্বের আবেগের গতিমুখ বুঝেই পরিবর্তন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কারণ শুরুতে হামাসের রকেট হামলার পরই তীব্র ভাষায় সন্ত্রাসের নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখনই ঘরোয়া বিরোধী মহলে এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল যে, সরাসরি ফিলিস্তিন-বিরোধিতায় নেমেছে মোদি সরকার যা ভারতের দীর্ঘদিনের বিদেশনীতির পরিপন্থী।

এদিকে ইসরায়েলের হাইফা বন্দর আদানির মালিকানায় থাকার বিষয়টি দিল্লির মত পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। এর মধ্যে নয়াদিল্লি মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে।

সম্প্রতি আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইসরায়েল পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারই ফলস্বরূপ আজ (শুক্রবার) অরিন্দম বাগচী এ কথা বলেছেন।

৭ অক্টোবর রকেট হামলার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এটিই প্রথম বিবৃতি। এরমধ্যে দুবার মুখ খুলেছেন মোদি। হামাসের হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে উল্লেখ করে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি বলেছিলেন, এই কঠিন সময়ে ভারত সর্বতোভাবে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এক্স হ্যান্ডল-এ।

তবে শুক্রবারের বিবৃতিকে নিজেদের অবস্থানে পরিবর্তন বলে মানতে নারাজ দিল্লি। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করেছিলেন। তিনি সার্বিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তার সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান একই আছে।