সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং, সকাল ১১:০৬
শিরোনাম :
আগামী কয়েক দিন গরম আরো বাড়তে পারে কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ২ পর্যটক উদ্ধার শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রদূতরা পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরমাণুকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া: ইউক্রেন বরিশালসহ দেশের ১৩ অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা শ্রীমঙ্গল যাওয়ার পথে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার দেশের দ্বিতীয় নারী সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, পরাজয় মেনে নিয়েছি: আজমত উল্লাহ বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ গাজীপুরের মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী হলেন জায়েদা খাতুন

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলেরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু

ডেস্করিপোর্ট  রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় ডায়রিয়া-কলেরা নিয়ন্ত্রণে কলেরা টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছে।রোববার বিকালে মহাখালীর আইসিডিডিআর,বিতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলেরা টিকাদান কর্মসূচি। ঢাকার প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দাকে আজ থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

চলমান কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বন করে এসব এলাকার অধিবাসীকে কলেরার টিকা গ্রহণ ও টিকাদান কার্যক্রমকে সহায়তা করতে অনুরোধ করে অধিদপ্তর।

জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কর্মসূচি চলবে। যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লাখ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার ও মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লাখ বাসিন্দাকে কলেরার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রায় ৭০০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

কমপক্ষে ১৪ দিন অন্তর প্রদেয় দুই ডোজের দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে দেওয়া হবে। এ টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। অন্তঃসত্ত্বা নারী ও যারা ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছে তারা ব্যতীত সবাই এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. মো. শফিকুল ইসলাম।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআর,বিসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুততার সঙ্গে এই টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।