সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ ইং, সন্ধ্যা ৬:০৫

মোংলা-পায়রায় ৭ ও চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

ডেক্সরিপোর্ট:ঘূর্ণিঝড়‘বুলবুল’-এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ২২টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকার।

শুক্রবার বিকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাব মোকাবেলায় মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানতে পারে। তাই এর মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

তিনি জানান, ৭টি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য ইতিমধ্যেই সাইক্লোন সেন্টারসহ উপকূলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রতিটি সাইক্লোন সেন্টারে দুই হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবারসহ নগদ ৫ লাখ করে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার ভোর থেকে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিমি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিন্মঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে