বুধবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, রাত ২:৩৩
শিরোনাম :
২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ তাপমাত্রা আরও বাড়বে, গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার সারাদেশে ১০ দিনে পাঁচ লাখ গাছ লাগাবে ছাত্রলীগ ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত বাংলাদেশকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষনা

দক্ষিণাঞ্চলের দেড় কোটি মানুষের ২৬ আইসিইউ বেড, ২ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন!

ডেস্ক রিপোর্ট  বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের ৮ জেলার দেড় কোটি মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ২৬টি আইসিইউ বেড। করোনার ভয়াবহতায় গুরুতর অসুস্থ রোগী বাঁচাতে মাত্র ২৬টি বেড ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও এই আইসিইউগুলোতে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নেই বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৪২ উপজেলার কোথাও নেই আইসিইউ স্পেশালিষ্ট। এমনকি বরিশাল বিভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৮ জেলার প্রায় দেড় কোটি মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একমাত্র ভরসাস্থল শেবাচিম হাসপাতালে পর্যন্ত নেই আইসিইউ তথা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র দেখভালের বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক।

এদিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও ভোলা সরকারি হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেন্টার। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেড় কোটি মানুষ।

করোনার শুরু থেকেই সারা দেশে আইসিইউ সংকটে ভুগছে রোগীরা। এই পরিস্থিতি বরিশালেও। দক্ষিণাঞ্চলের ৮ জেলার মানুষের জন্য থাকা একমাত্র ডেডিকেটেড করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ১২টি আইসিইউ বেড।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের জন্য থাকা আরও ১২টি মিলিয়ে মোট ২৪টি আইসিইউ বেডের জন্য এখানে নেই কোনো স্পেশালিষ্ট।

ডা. নাজমুল নামে একজন এনেস্থিসিয়ার ডাক্তার দেখভাল করেন এখানকার আইসিইউ। অভিজ্ঞতা বলতে তার রয়েছে আইসিইউর উপরে ঢাকায় নেয়া ১০/১৫ দিনের একটি প্রশিক্ষণ। তিনি আবার কয়েকজন নার্সকে প্রশিক্ষিত করেছেন আইসিইউ বিষয়ে। এদের দিয়েই এখানে বছরের পর বছর চলছে আইসিইউ ওয়ার্ড।

এরইমধ্যে ভয়াবহ আকারে অতিমারি ছড়ালে করোনা ওয়ার্ডে বসানো ১২টি আইসিইউ বেডের দেখভালেরও দায়িত্ব পরে ডা. নাজমুল ও তার টিমের ওপর। আশার কথা হচ্ছে এই টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে শেবাচিম হাসপাতালে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুহার দেশের অন্য যে কোনো স্থানের তুলনায় অনেক কম।

তবে এতে করে জটিলতাও হচ্ছে। করোনাসহ দুটি ওয়ার্ডের আইসিইউ সামলাতে এই টিমের ব্যস্ততার প্রভাব পড়ছে হাসপাতালের রুটিন সার্জারিতে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে আসা রোগীদের সারি।

বরিশালের স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার বলেন, জরুরি পরিস্থিতির বিচারে সব নিয়ম মানা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। আমরা শেবাচিম হাসপাতালকে বলেছি অন্যান্য হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যাপারে সহায়তা করতে। এই সংক্রান্ত চিঠিও এরইমধ্যে পাঠানো হয়েছে। আইসিইউ বিশেষজ্ঞ না পাওয়া পর্যন্ত এভাবেই রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।