বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং, দুপুর ২:২৪
শিরোনাম :
১১ দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি আওয়ামী লীগ এখন সাম্প্রদায়িকতা-বর্ণবাদ ছড়াচ্ছে: ফখরুল কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো:খাইরুল আলম এর পুষ্পস্তবক অর্পণ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিট কিনতে ৯৫ লাখ হিট জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়লো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ চার দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও জাতিসংঘ নারী প্রতিনিধির সাক্ষাৎ এ বছর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হবে ১৩ হাজার ৭৮১ বরিশালে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিল এপিবিএন পুলিশ

নখ কাটার সময় বাবা বললেন, ছেলের নাম রাখবি ‘জয়’: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্করিপোর্ট  প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০ বছরে তার নাম রাখা কীভাবে সেটি জানিয়েছেন মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নিয়ে তিনি এ গল্প বলেন।

গত ২৩ জুলাই ছিল পাবলিক সার্ভিস দিবস, তবে করোনার কারণে এটির আয়োজন আজ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে ‘২৭ তারিখ আমাদের জন্য বিশেষ দিন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনটিও আমার বিশেষ দিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তান দিবস। সেদিন বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করেনি। (ধানমন্ডি) ৩২ নম্বরের বাড়িতে আমার বাবা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলেন। তখন আমি কেবল সন্তানসম্ভবা। আমি সাধারণত বাবার হাত-পায়ের নখ কেটে দিতাম, সেটা আমার নিয়মিত কাজ ছিল। সেদিন একমগ পানি নিয়ে বাবার নখ কাটতে বসলাম। সেদিন বাবা বললেন, হ্যাঁ, ভালোভাবে কেটে দে, কারণ পরে আর সুযোগ পাবি কি-না! তবে তোর ছেলে হবে, সে ছেলে স্বাধীন বাংলাদেশে হবে, তার নাম ‘জয়’ রাখবি।’

২৫ মার্চের ভয়াল রাতের ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বন্দি অবস্থায় মেডিকেলে জয়ের জন্ম হয়। পরে বাচ্চা নিয়ে কারাগারে আসলে একজন পাকিস্তান সেনা অফিসার জিজ্ঞেস করে তার নাম কী? আমি বলি, জয়। বলে মানে কী? বলি, জয় মানে জয়, ভিক্টরি। তখন এই ছোট্ট শিশুকেও তারা গালি দেয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, আজ তার (জয়ের) জন্মদিন। ৫০ বছর বয়স হলো জয়ের। এই করোনার কারণে আমরা একসঙ্গে হতে পারলাম না, এটা আরেকটা দুঃখ। আপনারা এই দিনটি স্মরণ করছেন, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।