বৃহস্পতিবার, ৩০শে মার্চ, ২০২৩ ইং, সন্ধ্যা ৭:৪৩

বরিশালে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে প্লাস্টিকের বর্জ্যের রিসাইক্লিং কারখানা-নেই পরিবেশের ছাড়পত্র

ডেস্করিপোর্ট  বরিশাল নগরীর পলাশপুর গোলাম মাওলা মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে প্রায় ৫-৬ টি অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানা গড়ে ওঠায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসভ্যতা প্রকৃতি আর প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে মিলেমিশেই বেড়ে ওঠে। তাই প্রাকৃতিক পরিবেশের বাইরে গেলে মানবসভ্যতা হুমকিতে পড়ে। বর্তমানে মানবসৃষ্ট নানা দূষণ-দহনে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে।

আর এরকারনেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং এলাকাগুলো। এসব দূষণের মধ্যে প্লাস্টিক ও ড্রাগযুক্ত ইনজেকশনের সামগ্রীও রয়েছে যার আঘাতে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে জেতে পারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ইনজেকশনের ব্যবহারিত ব্লাড যুক্ত বিভিন্ন সুইস যা ধোঁয়ার ব্যবহারিত পানি ফেলা হয় খালে। প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির জায়গায় এখন নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার শিশুদের বসবাসের স্থানে। কারণ গবেষণায় স্পষ্ট যে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের মলে প্রায় দশগুণ বেশি মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। তার মানে তাদের শরীরেও ব্যাপক হারে প্রবেশ ঘটছে এই বিষাক্ত বস্তুর। পরিবেশবিদ ও সচেতনমহলের মতে,বর্জ্য প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর কারখানা গণবসতি এলাকা থেকে এখনই বন্ধ বা নাসরালে ২০২৫ সালে এই প্লাস্টিক বর্জ্য দুষণ বেড়ে যাবে প্রায় দ্বিগুণ। তখন মনুষ্য শরীরে এই ‘প্লাস্টিক’রূপী ভাইরাসের দাপট প্রতিরোধ কঠিন হয়ে পড়বে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে যেমন প্লাস্টিকের বর্জ্য কারখানা গণবসতি এলাকা থেকে দূরূত সরানো প্রয়োজন, তেমনি পরিবেশ অধিদপ্তরের এবং সিটি করর্পোরেশনের হস্তক্ষেপ জরুরি মনে করেন এলাকাবাসি।

এদিকে প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানা’র মালিক মোঃ জহির ও ইয়াসিন এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এ ধরনের অবৈধ ভাবে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া কারখানার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা এর দ্রুত ব্যবস্থা নেব।