ডেস্ক রিপোর্ট ।। তুরস্কের অন্যতম বৃহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বরিশালের সন্তান শামসুজ্জামান খান রাজীব।
জানাগেছে, মুহাম্মদ শামসুজ্জামান খান রাজীব, বরিশাল জেলার হিজলা থানার মহিষখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান খান। শৈশব থেকেই মেধাবী শামসুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ২০০৯ সালে স্নাতক এবং ২০১১ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তার মেধা ও অধ্যবসায়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই “ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেওবন্দ মাদ্রাসার ভূমিকা” শীর্ষক গবেষণাকর্মের উপর এম. ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি, তিনি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থেকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন।
২০১৮ সালে তুরস্ক সরকারের প্রেস্টিজিয়াস ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ (YTB) অর্জন করে তিনি তুরস্কের সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অধীনে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হন। তার গবেষণার বিষয় ছিল “India -Turkey Relations in the Context of Nationalism 1911-1938” (জাতীয়তাবাদের প্রেক্ষাপটে ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক (১৯১১-১৯৩৮)”। দীর্ঘ অধ্যয়ন ও গবেষণার পর, তিনি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে উক্ত বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
মুহাম্মদ শামসুজ্জামান খান রাজীবের এই সাফল্য শুধু তার পরিবারের জন্যই গৌরবের বিষয় নয়, বরং পুরো দেশের একাডেমিক অঙ্গনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তার এই গবেষণাকর্ম উভয় অঞ্চলের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি ।