ডেস্ক রিপোর্ট ।। বরিশালে চার বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত সুজন (৩২) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ধান গবেষণা রোডে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
পরে রাত ৮টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজনের মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান।
এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ভুক্তভোগীকে একটি রান্নার পাত্র ফেরত দিতে প্রতিবেশী সুজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। তখন ঘরে সুজন একা ছিলেন। এ সময় শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সুজন। শিশুটি চিৎকার দিলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা প্রশ্নে শনিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক তদন্তে যায় পুলিশ। এ খবরে স্থানীয়রা সুজনকে পুলিশে দিতে আটক করে। এ সময় তারা তাকে গণধোলাই দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রু তার জেরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। সুজন অপরাধী হলে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দিত। বিনাবিচারে মেরে ফেলল কেন? এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন সুজনের চাচা মানিক মৃধা।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই মানিক সাহা বলেন, লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবার করা অভিযোগটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।