বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, রাত ৯:৫৪
শিরোনাম :
আরেকবার ভুল করলে ইসরায়েলের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না: ইরান ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ তাপমাত্রা আরও বাড়বে, গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, কেএনএফ সদস্য নিহত সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার সারাদেশে ১০ দিনে পাঁচ লাখ গাছ লাগাবে ছাত্রলীগ ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস চট্টগ্রামে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত বাংলাদেশকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

পটুয়াখালীতে ছেলেকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে বরিশালে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

শামীম আহমেদ  পটুয়াখালীর মুসলিম পাড়ায় ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার ঘটনায় বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছে মা কামরুন্নাহার। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা মা কামরুন্নাহার ও প্যারালাইজযড বাবা নুরুল ইসলাম মাস্টার।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরের আগরপুর রোডস্থ বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ছেলে হত্যার বিচর চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১১ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে তানভীর রহমান (২১) এর লাশ পটুয়াখালীর ৫নং ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকার এবিএ শহীন ফেরদৌস এর বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তানভীর রহমানের সাথে এবিএ শহীন ফেরদৌস এর মেয়ে স্থানীয় সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মারিয়া (১৯) এর সাথে তানভীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

বিষয়টি তানভীরের পরিবারও জানতো। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে নিহত তানভরি রহমান এর মা কামরুন্নাহার বলেন, তানভীর রহমান ঢাকার এক ফার্মেসীতে চাকরি করতো। তার সাথে পটুয়াখালীর ৫নং ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকার এবিএ শহীন ফেরদৌস এর মেয়ে মারিয়া (১৯) এর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয়ের প্রেরে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মারিয়ার বাবা এবিএ শহীন
ফেরদৌস , স্ত্রী রুমা বেগম, মেয়ে মারিয়া তানভীরকে ঢাকা থেকে গত ৫ নভেম্বর তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। ৭ নভেম্বর তানভীর বাসায় ফোন করে ২ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। কিন্তু তানভীর পটূয়াখালীতে এসেছে সে কথা বাড়িতে জানায়নি।

পরে ১১ নভেম্ব সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পটুয়াখালী থানা থেকে তানভীরের বোন নিপা বেগমের কাছে ফোন করে জানায় তানভীর নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তারা পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে তানভীরের সন্ধান পান। তিনি

আরো বলেণ, আমার মেয়ে নিপাসহ কয়েকজন মুসলিম পাড়া এলাকায় গিয়ে জানতে পারে তানভীরকে ১১ নভেম্বর সকাল ৭টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আটকে রেখে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তানভীরের সাথে মেয়ে মরিয়ার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে । তানভরি রাজি না হওয়ায় তাকে শরীরিক ভাবে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তানভীরের লাশ বাসায় রেখে গুম করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।তানভীরকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে দায় এড়াতে নিহতের গলায় ওড়না পেচিয়ে রাখে।

তিনি বলেন আমার ছেলেকে হত্যার পরও হত্যাকারী এবিএ শহীন ফেরদৌস পটুখাখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তানভীরের লাশ যেখানথেকে উদ্ধার করা হলো পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের কাছ থেকে মামলা নিলো কিভাবে? তিনি আরো বলেণ, ওই এলাকার স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তানভীর তার বোনের বিয়েরে পর বিয়ে করবে বলে সময়
চেয়েছিলো। কিন্তু এবিএ শহীন ফেরদৌস তার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করে। এতে রাজি না হওয়ায় তানভীরকে পরিকলি।পত ভাবে শ্বাসরোধ করে তহ্যা করে। এবিষয়ে তানভীরের মা বাদী হয়ে এবিএ শহীন ফেরদৌস , স্ত্রী রুমাবেগম, মেয়ে মারিয়া, পালিত ছেলে ইমরান এর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার
আসামীরা হলেন, পটুয়াখালীর ৫নং ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকার এবিএ শহীন ফেরদৌস (৫০), স্ত্রী রমাা বেগম (৪০), মেয়ে মারিয়া (১৯), পালিত ছেলে ইমরান(২৩)। উক্ত মামলায় আদালত পটুয়াখালী থানার অফিসার ইনচার্যকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ছেলে হত্যার বিচার ও মামলার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, তানভীরের বোন ফেরদৌস ইসলাম, খালাতো ভাই ইমরান হোসেন, মামা হাবিবুর রহমান ও নজরুল ইসলাম।