ডেস্করিপোর্ট বরিশাল থেকে আড়িয়াল খাঁ নদী পারাপার হয় হিজলা, মুলাদি, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লাখো মানুষ। শুধু খেয়াঘাট নয়, ফেরি পারাপারেও গলাকাটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে ইজারার শর্ত প্রতিনিয়ত ভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ যাতায়াতকারীদের।
যাত্রীদের দাবি, হয়রানি বন্ধের। আর অনিয়ম বন্ধে ইজারাদারদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন বৈঠক করলেও সমাধান হয়নি। তবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
যাত্রীদের অভিযোগ, এই খেয়া ও ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার যাত্রী পারাপার হয়। জনপ্রতি নির্ধারিত ভাড়া সাত টাকা থাকলেও খেয়া পার হতে হয় ২০-৩০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা হলেও আদায় হয় ৫০ টাকা। সঙ্গে দুর্ব্যবহার তো আছেই।
মোটরসাইকেলের ভাড়া ৫ টাকা, আদায় হয় ৩০ টাকা, বাস ৯০ টাকা আদায় হয় ৫৫০ টাকা, মালবাহী অটোগাড়ি ৪০ টাকা,আদায় হয় ৪০০ টাকা, পিকআপ ৮০ টাকা,আদায় হয় ১১০০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫০ টাকা,আদায় হয় দুই হাজার টাকা।
তবে ঘাটে টাকা উত্তোলনকারীদের দাবি,বাড়তি নয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়াই আদায় করা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ সত্য জানিয়ে, স্থানীয় প্রশাসন বলছে বৈঠকেও সমাধান হয়নি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমীনুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ব্যবস্থাও নিয়েছি। এর একটি বিষয় হলো টোল আদায়ের যে স্পট সেটি নদীর ওপারে; তাই ইজারার শর্ত প্রতি নিয়ত ভঙ্গ হচ্ছে।
ফেরি পারাপার সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের এবং খেয়াঘাট জেলা পরিষদের অধীনে। সবার সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, যে অভিযোগগুলো পেয়েছি; সেগুলো স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি, সমাধান করে জনগণের দুর্ভোগ কমানো হবে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, জনগণ যদি কষ্ট পান এবং যদি কোনো রকমের অন্যায় ও অনিয়ম হয়ে থাকে জানাবেন; আমরা ব্যবস্থা নেব।