ডেস্করিপোর্ট ফুঁসে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। প্রবল ঢেউ ও ঝড়ো বাতাসে সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিংবোট বহর সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। বারবার সাগরে গিয়ে দূর্যোগের কবলে পড়ে জেলেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর রহমান শামীম জানান, দশ দিনের ব্যবধানে সাগরের আবহাওয়া আবার খারাপ হয়েছে। ঝড়ো বাতাস ও বড় বড় ঢেউয়ে সাগরে মাছ ধরতে না পেরে কয়েক হাজার ফিশিংবোট সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সাগরে দূর্যোগের কবলে পড়ে জেলেরা ফিরে আসে।
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, গত দুই দিনে সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় শরণখোলার আড়াইশ ফিশিংবোট মহিপুর, নিদ্রাসখিনা,পাথরঘাটা ও সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। ৬৫ দিনের অবরোধের পরে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৪ দফায় দুর্যোগের কবলে পড়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে ফলে জেলে ও বোট মালিকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
পিরোজপুরের পাড়েরহাটের মৎস্য আড়তদার ইকবাল হোসেন বলেন, ইলিশ মৌসুমের শেষ দিকে এসেও বারবার দূর্যোগের কারণে তারা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরতে পারেননি।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল হওয়ায় প্রায় সব ফিশিংবোট ঘাটে ফিরে এসেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, সাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসে বইছে। অনেক ফিশিংবোট দুবলার ভেদাখালী, মেহেরআলী, মানিকখালী, নারিকেলবাড়ীয়া ও ভাঙ্গার খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।