ডেস্ক রিপোর্ট ।। জুলাই শহিদস্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন,রাষ্ট্র কাঠামোতে এখনো অনেকে রয়েছেন, যারা চান না এ অভ্যুত্থান টিকে থাকুক।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহিদপরিবারের মাঝে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জুলাই শহিদস্মৃতি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ চেক বিতরণ করা হয়।
সারজিস আলম বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এখনো বিভিন্ন জায়গায় ব্যত্যয় দেখি। কারণ, বিগত ১৬ বছরে এ সুবিধাভোগীরা ছিল। এখনো তারা বিভিন্ন চেহারায়, বিভিন্ন রূপে ঘাপটি মেরে আছে। না হয় গিরগিটির মতো রূপ পালটে রয়েছে।সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে রাষ্ট্র কাঠামোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা যখন যাই, ওই মানুষগুলো তখন তাদের জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে অবহেলা দেখায়। আমরা যখন শহিদপরিবার ও সহযোদ্ধাদের ফাইল নিয়ে সচিবালয়ে যাই, আমাদের টেবিলে, টেবিলে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। এখনো অনেকে রয়েছেন রাষ্ট্র কাঠামোতে, তারা চায় না এ অভ্যুত্থান টিকে থাকুক।
তিনি বলেন, আমরা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি বিভাগে যাচ্ছি। প্রতি সপ্তাহে শনিবার আমরা শহিদপরিবারের সদস্য যারা রয়েছেন, তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। তাদের সামনে গিয়ে যখন দাঁড়াই, তখন একটি জিনিস মনে হয়, এ সময় দেশের রাষ্ট্র কাঠামোর পরিচালনার জন্য যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরও প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একদিন শহিদপরিবারের সামনে ৩০ মিনিটের জন্য হলেও দাঁড়ানো উচিত।
সারজিস আরও বলেন, আজকের এ বাংলাদেশে সেই কালপ্রিট, সেই নরপিশাচরা যখন প্রশ্ন তুলে বলে, øিগ্ধ আর মুগ্ধ এক ব্যক্তি। তখন আমাদের মনে হয় সেই নরপিশাচরা এত বড় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে, ওদের প্রত্যেককে প্রতিদিন শহিদপরিবারের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত। নরপিশাচদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। প্রায় দুই হাজার মানুষকে খুন করার সেই ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। সেই নরপিশাচদের আমাদের সহযোদ্ধাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম আমানুলাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জুলাই শহিদস্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ২৫ শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা এবং জুলাই শহিদস্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।