আযাদ আলাউদ্দীন ।। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন”মুক্তবুলি”র লেখক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ১২৭তম একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে এবং গত ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ২৬২ তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তার রেজিঃ নং- ২৮, শিক্ষাবর্ষ- ২০১৪- ২০১৫। তার থিসিসের শিরোনাম ছিল- AS-SA’LAKAH IN THE ARABIC POETRY: A CRITICAL STUDY.
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধিনে সম্পাদিত এ গবেষণা কর্মের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. শামছুল হক ছিদ্দিকী। তার থিসিস মূল্যায়ন ও পরিক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. আ.স.ম. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। থিসিস মূল্যায়ন ও পরিক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন ভারতের ‘আলিগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’র আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফয়জান বেগ এবং অপর সদস্য (তত্ত্বাবদায়ক হিসেবে) ছিলেন ড. এ.কে.এম শামছুল হক ছিদ্দিকী। ড. রিয়াজ ইতোপূর্বে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২২ তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন।
ইবি-র একই বিভাগ থেকে ২০০৮ সনে তিনি এম, এ (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি তার শিক্ষা জীবনে অনেক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। বর্তমানে তিনি মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ‘মাদারীপুর আহমাদিয়া কামিল মাদরাসায়’ মুহাদ্দিস পদে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষকতা পেশায় তিনি একাধিকবার জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মানা অর্জন করেন।
ইতোপূর্বে তিনি বরিশালের ঐতিহ্যবাহী ‘সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা এবং পটুয়াখালীর ‘দুমকি ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা’র ভূতপূর্ব প্রভাষক হিসেবে সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএমএড প্রোগামের টিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের বড়হারজী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাও. মো. নজরুল ইসলাম ও সৈয়দা মাজিদা বেগমের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে ৩য় সন্তান। সহধর্মিনী হিসেবে শামিমা ইসলাম এবং দুই সন্তান আব্দুল্লাহ ফাহিম ও আব্দুল্লাহ নাঈম এর সহযোগিতাও ছিলো তার এ কৃতিত্তের জন্য প্রশংসনীয়।
তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার শিক্ষা জীবনের সকল স্তরের শিক্ষকবৃন্দ, শুভাকাক্সক্ষী, গুণগ্রাহী ও গবেষণা কাজে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞ। মাতা-পিতা, বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ বিশেষ করে সুপারভাইজার ড. একেএম শামছুল হক ছিদ্দিকী স্যারের একান্ত অভিভাকত্ত্ব ও দোয়ার কারণেই তার এ সফলতা অর্জন বলে তিনি মনে করেন। বেশ কিছু বই প্রকাশসহ জাতীয় গবেষণা জার্নালে তার ১৫টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণার পাশাপাশি তার লেখালেখির কাজ অব্যহত রয়েছে। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী।